পবা উপজেলার হড়গ্রাম ইউনিয়নের আদাড়িয়াপাড়া জামে মসজিদ ও গোরস্থানের জমি বিক্রি নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে সম্প্রতি পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন করেছেন মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. আবুল কালাম আজাদ এবং হড়গ্রাম ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক নাজিমুদ্দিন ও মসজিদ কমিটির সদস্য তসলেম উদ্দিন।
গত শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আদাড়িয়াপাড়া এলাকায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ অভিযোগ করেন,“মসজিদের জমি বিক্রি” নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যে অভিযোগ ছড়ানো হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তিনি বলেন,“আমি ১৯৮৬ সাল থেকে মসজিদ ও গোরস্থানের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। কোনো অনিয়ম হয়নি। বরং স্থানীয়দের সহযোগিতায় মসজিদের উন্নয়ন হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, সম্প্রতি মসজিদ সম্প্রসারণের জন্য স্থানীয় আব্দুল মালেকের কাছ থেকে জমি ক্রয় করা হয়। এর বিনিময়ে মালেককেও দুই কাঠা জমি দেওয়া হয়। পরে মসজিদের উন্নয়ন কাজে সংলগ্ন জমি বিক্রির পরিকল্পনা করা হলে কমিটির সদস্য তসলেম উদ্দিন রেজুলেশন খাতা নিয়ে গিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করেন। অধ্যাপক আজাদের দাবি, তিনি যেহেতু আসন্ন নির্বাচনে জামায়াতের মনোনীত প্রার্থী হয়েছেন, তাই তাঁর জনপ্রিয়তা নষ্ট করতে স্থানীয় বিএনপি নেতা নাজিমুদ্দিন, তসলেম উদ্দিন ও আসগর আলী ষড়যন্ত্র করছেন।
তবে অপর মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে হড়গ্রাম ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক নাজিমুদ্দিন ও মসজিদ কমিটির সদস্য তসলেম উদ্দিন অধ্যাপক আজাদের অভিযোগের প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তাঁরা বলেন, মসজিদের স্থায়ী সম্পত্তি বিক্রির বিষয়ে জনগণের মতামত ছাড়া এককভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া বেআইনি। তাঁদের দাবি,“আবুল কালাম আজাদ দুই কাঠা জমি বিক্রির নামে এক বিঘা জমি বিক্রির পাঁয়তারা করেছিলেন।” এ ঘটনায় সাধারণ মুসল্লিদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিলে তিনি উল্টো ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন এবং নিজেদের আড়াল করতে সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, মসজিদের সম্পত্তি বিক্রি বা ক্রয়ের ক্ষেত্রে কার্যনির্বাহী কমিটির সভার মাধ্যমে সাধারণ সভায় অনুমোদন নেওয়া বাধ্যতামূলক। অথচ অধ্যাপক আজাদ জনগণের মতামত উপেক্ষা করে গোপনে রেজুলেশন করেন, যা অনৈতিক ও অবৈধ। তাঁরা দাবি করেন, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানকে কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর স্বার্থে ব্যবহার করা যাবে না।
এ সময় উপস্থিত মসজিদ কমিটির সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন বলেন,“আমাদের মসজিদ ও গোরস্থানের জমি নিয়ে নানা গুজব ছড়ানো হচ্ছে। কিন্তু আসল সত্য হলো-আমরা সবাই মিলেই মুসল্লিদের সুবিধার জন্য উন্নয়ন কাজ চালাচ্ছি। কোনো ব্যক্তিগত স্বার্থ নেই।”
মসজিদ কমিটির সহ-সভাপতি শামসুল আলম বলেন, “মসজিদের জমি নিয়ে যে সব বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে তা ভিত্তিহীন। আমরা কোনোভাবেই ব্যক্তিগত বা রাজনৈতিক স্বার্থে মসজিদের স্থায়ী সম্পত্তি ব্যবহার করিনি এবং করবও না। মুসল্লিদের স্বার্থকেই সর্বাগ্রে রাখা হবে।”
একইসাথে মসজিদের ক্যাশিয়ার আবুল হোসেন বলেন, “আমাদের সমস্ত আর্থিক কার্যক্রম স্বচ্ছভাবে পরিচালিত হয়। মসজিদ ও গোরস্থানের উন্নয়নে যে অর্থ ব্যয় করা হচ্ছে, তার প্রতিটি টাকার হিসাব সংরক্ষিত আছে। তাই জমি বিক্রির নামে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।”
স্থানীয়রা সাংবাদিকদের কাছে অনুরোধ করেন, এ বিষয়ে সঠিক তদন্ত করে প্রকৃত ঘটনা প্রকাশ করতে। একইসাথে তাঁরা মসজিদ ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানকে দলীয়করণ ও ব্যক্তিগত স্বার্থে ব্যবহারের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকার অঙ্গীকার করেন।
গত শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আদাড়িয়াপাড়া এলাকায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ অভিযোগ করেন,“মসজিদের জমি বিক্রি” নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যে অভিযোগ ছড়ানো হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তিনি বলেন,“আমি ১৯৮৬ সাল থেকে মসজিদ ও গোরস্থানের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। কোনো অনিয়ম হয়নি। বরং স্থানীয়দের সহযোগিতায় মসজিদের উন্নয়ন হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, সম্প্রতি মসজিদ সম্প্রসারণের জন্য স্থানীয় আব্দুল মালেকের কাছ থেকে জমি ক্রয় করা হয়। এর বিনিময়ে মালেককেও দুই কাঠা জমি দেওয়া হয়। পরে মসজিদের উন্নয়ন কাজে সংলগ্ন জমি বিক্রির পরিকল্পনা করা হলে কমিটির সদস্য তসলেম উদ্দিন রেজুলেশন খাতা নিয়ে গিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করেন। অধ্যাপক আজাদের দাবি, তিনি যেহেতু আসন্ন নির্বাচনে জামায়াতের মনোনীত প্রার্থী হয়েছেন, তাই তাঁর জনপ্রিয়তা নষ্ট করতে স্থানীয় বিএনপি নেতা নাজিমুদ্দিন, তসলেম উদ্দিন ও আসগর আলী ষড়যন্ত্র করছেন।
তবে অপর মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে হড়গ্রাম ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক নাজিমুদ্দিন ও মসজিদ কমিটির সদস্য তসলেম উদ্দিন অধ্যাপক আজাদের অভিযোগের প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তাঁরা বলেন, মসজিদের স্থায়ী সম্পত্তি বিক্রির বিষয়ে জনগণের মতামত ছাড়া এককভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া বেআইনি। তাঁদের দাবি,“আবুল কালাম আজাদ দুই কাঠা জমি বিক্রির নামে এক বিঘা জমি বিক্রির পাঁয়তারা করেছিলেন।” এ ঘটনায় সাধারণ মুসল্লিদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিলে তিনি উল্টো ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন এবং নিজেদের আড়াল করতে সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, মসজিদের সম্পত্তি বিক্রি বা ক্রয়ের ক্ষেত্রে কার্যনির্বাহী কমিটির সভার মাধ্যমে সাধারণ সভায় অনুমোদন নেওয়া বাধ্যতামূলক। অথচ অধ্যাপক আজাদ জনগণের মতামত উপেক্ষা করে গোপনে রেজুলেশন করেন, যা অনৈতিক ও অবৈধ। তাঁরা দাবি করেন, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানকে কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর স্বার্থে ব্যবহার করা যাবে না।
এ সময় উপস্থিত মসজিদ কমিটির সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন বলেন,“আমাদের মসজিদ ও গোরস্থানের জমি নিয়ে নানা গুজব ছড়ানো হচ্ছে। কিন্তু আসল সত্য হলো-আমরা সবাই মিলেই মুসল্লিদের সুবিধার জন্য উন্নয়ন কাজ চালাচ্ছি। কোনো ব্যক্তিগত স্বার্থ নেই।”
মসজিদ কমিটির সহ-সভাপতি শামসুল আলম বলেন, “মসজিদের জমি নিয়ে যে সব বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে তা ভিত্তিহীন। আমরা কোনোভাবেই ব্যক্তিগত বা রাজনৈতিক স্বার্থে মসজিদের স্থায়ী সম্পত্তি ব্যবহার করিনি এবং করবও না। মুসল্লিদের স্বার্থকেই সর্বাগ্রে রাখা হবে।”
একইসাথে মসজিদের ক্যাশিয়ার আবুল হোসেন বলেন, “আমাদের সমস্ত আর্থিক কার্যক্রম স্বচ্ছভাবে পরিচালিত হয়। মসজিদ ও গোরস্থানের উন্নয়নে যে অর্থ ব্যয় করা হচ্ছে, তার প্রতিটি টাকার হিসাব সংরক্ষিত আছে। তাই জমি বিক্রির নামে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।”
স্থানীয়রা সাংবাদিকদের কাছে অনুরোধ করেন, এ বিষয়ে সঠিক তদন্ত করে প্রকৃত ঘটনা প্রকাশ করতে। একইসাথে তাঁরা মসজিদ ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানকে দলীয়করণ ও ব্যক্তিগত স্বার্থে ব্যবহারের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকার অঙ্গীকার করেন।